প্রথম ক্রো-থর্প ট্রপি নিউজিল্যান্ড থেকে নিয়ে ইংল্যান্ডে ফেরার সব আয়োজন শেষ করেছে থ্রি লায়ন্সরা। বেসিন রিজার্ভে দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। রানের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে পাওয়া ২৬৭ রানের জয়টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের।
জো রুটের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং বোলারদের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে দাপুটে জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। বেসিন রিজার্ভ টেস্ট জয়ের মধ্যদিয়ে প্রায় ১৬ বছর পর কিউইদের ডেরায় সিরিজ জিতল থ্রি লায়ন্সরা। সবশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রথম ম্যাচে হেরে তিন টেস্টের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
ওয়েলিংটন টেস্টের ফল কী হবে, সেটা আঁচ করা গেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষে। জো রুটের ৩৬তম সেঞ্চুরি, ডাকেটের ৯২ ও বেথেলের ৯৬ রানের সুবাদে ৪২৭ রান করে বেন স্টোকস বাহিনী। তৃতীয় দিন মাত্র ৭.৩ ওভার খেলেই ৬ উইকেটে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। এতে নিউজিল্যান্ডের সামনে নির্ধারিত হয় ৫৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য।
টেস্টের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। নিউজিল্যান্ডের জন্যও যা প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। ৫৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৫৯ রানের মাঝেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ড্যারেল মিচেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার আভাস দিলেও তিনিও ফিরেছেন ৩২ রানে। ১৪১ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর সপ্তম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন টম ব্লান্ডেল ও নাথান স্মিথ। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ব্লান্ডেল ৯৬ রানে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হন ১০২ বলে ১১৫ রান করে। ব্লান্ডেলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি ছয় ও ১৩টি চার। এর পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ২.২ ওভার বল করে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিলে ২৫৯ রানেই আটকে যায় নিউজিল্যান্ড।
এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড। আগামী ১৫ ডিসেম্বর শেষ টেস্টে হ্যামিল্টনে মাঠে নামবে দুই দল।