যদিও এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ২২৮ রান। আজ দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে সেই রানও তুলতে পারেনি আজিজুল হাকিমের দল। গুটিয়ে গেছে ১৯৮ রানে।
যুবাদের এ পর্যন্ত আসার কথাও ছিল না। ২০০ রানের কাছাকাছি যেতে পেরেছে মূলত নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩১ রানের জুটিতে ভর করে। ১৬৭ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। তবে অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না।
যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে। দলের সবচেয়ে বড় ভরসা আজিজুল হাকিমও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, আউট হন ১৬ রানে। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগে। কারণ, এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন আজিজুল।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শিহাব আজও বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। সেমিফাইনাল ২৬ রান করা শিহাব আজ ফিরেছেন ৪০ রান করে। শিহাব যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৮।
সেখান থেকে ৩৯ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারায় আরও ৪ উইকেট। এই সময়ে ৪৭ রান করে আউট হন রিজান হোসেন।এরপর ফরিদ-ফাহাদ জুটিতে ২০০ রানের গণ্ডি পারের কথা ভাবে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। ৪৯.১ ওভারে বাংলাদেশ ১৯৮ রানেই থেমে যায়। ফরিদ করেন ৩৯ রান। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার যুধাজিৎ, চেতন ও বাঁহাতি স্পিনার হার্দিক।
এখন দেখা যাক বাংলাদেশের বোলাররা কেমন করেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক বাংলাদেশ দলের দুই পেসার আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন। দুজন নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। ফাইনালেও নিশ্চয়ই তাদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় থাকবেন আজিজুলরা।