
ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলা করে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন।
এদিন ইসমাইল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দুদকের মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ইসমাইল হোসেনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে দুদকের অনুমোদন আছে। তদন্তকালে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার ক্ষেত্রে সহযোগী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আসলে সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত আজ এই রায় দিলেন।