দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হান ডাক-সুকেও অভিশংসনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল। এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকেও অপসারণের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। তাকে অপসারণের ১০ দিনের মাথায় বিরোধীদলের পক্ষ থেকে এই হুমকি এল। মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পার্লামেন্টের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আজ জানিয়েছে, সদ্য-সাবেক প্রেসিডেন্টকে তদন্তের জন্য প্রস্তাবিত দুটি বিলের অনুমোদন না দেওয়ায় হান ডাক-সুকে অভিশংসনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা।
ইউন সুক ইওলের সামরিক আইন জারির কারণ ও তার স্ত্রী কিম কিয়ন হি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল বিল দুটি। এ বিলগুলোর অনুমোদন দেওয়ার জন্য ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিরোধীরা।
সামরিক আইন জারির দায়ে গত ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের ভোটে দায়িত্বচ্যুত হন ইউন সুক ইওল। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হান মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধীদের তদন্তের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর বিরোধী দলের প্রধান পার্ক চান-দাই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বাধ্য হচ্ছি বলতে, তদন্তে দেরির উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি (প্রেসিডেন্ট) বিদ্রোহকে জিইয়ে রাখতে চাইছেন। তাই আমরা অবিলম্বে হানের অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করব।’
বিরোধী দল বলছে, ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য তাদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই চলবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির দাবি, যেহেতু হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, তাকে অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে।