দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বা টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি ২০২৩ সালের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে প্রণীত হয়েছে। ‘সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে সবার জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে আটটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। স্তম্ভগুলোর মধ্যে টেকসই পণ্য, টেকসই প্যাকেজিং, কৃষি, পানি ও জ্বালানি উল্লেখযোগ্য।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশলে বলা হয়েছে, বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার জন্য দরকার উদ্ভাবন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ব্যবসায়িক মডেল প্রণয়নে গ্রুপটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টেকসই উন্নয়নবিষয়ক প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে আছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা, কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা, সব কারখানায় পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস ও কারখানায় ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ২৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস।