মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট...

ঢাকায় অলিম্পিক ডে র‌্যালির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের...

প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান ছিল অলীক : শ্বেতপত্র কমিটি

ছবি : সংগৃহীত

২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, শ্বেতপত্র কমিটি মনে করছে, অর্থনীতির বাস্তব চিত্রের সঙ্গে পরিসংখ্যান মেলে না। সে জন্য তারা এই উচ্চ হারের প্রবৃদ্ধিকে ধাঁধার সঙ্গে তুলনা করেছে। তথ্য-উপাত্ত নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখে এই পরিসংখ্যান ভুল বলে আখ্যা দিয়েছে কমিটি।

পাশাপাশি কমিটি বলছে ২০১০-২০১৯ সালে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার উৎস অজ্ঞাত। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে তা ব্যতিক্রমী হলেও তা ছিল এক অলীক বিষয়। সমপর্যায়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল বেশি। বিষয়টি সবার নজরেই এসেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতির পরিস্থিতি নিরূপণে যে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করে, সেই কমিটি গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। সেখানে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান মেলে না, এই অভিযোগ অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই করে আসছেন। ফলে এই উচ্চ হারের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।

ছবি : সংগৃহীত

উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র কমিটি বলেছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার তৃতীয় পক্ষের স্বাধীন পর্যালোচনা ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারিভাবে সংগৃহীত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই কেবল তা করা হয়েছে। কেবল সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে দেখা গেছে, দুঃসময় বা দুর্যোগের সময়ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল অত্যন্ত চাঙা।

প্রতিবেদন বলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিরূপণের বিভিন্ন মডেল আছে, যেসব মডেলে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের মধ্যে তাত্ত্বিক সম্পর্ক থাকে, যেমন শ্রম, পুঁজি, উৎপাদনশীলতা। কিন্তু এসব প্রথাগত মডেলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার ব্যাখ্যা করা যায় না। ফলে শ্বেতপত্র কমিটি মনে করছে, এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পক্ষপাত ছিল।

শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রচারণার স্বার্থে রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তিরা প্রবৃদ্ধির গতি বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক কর্তা সবচেয়ে উৎসাহী ও প্রভাবশীল ছিলেন, তাঁর প্রস্থানের পরও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মধ্যে সেই রেশ থেকে গিয়েছিল। ওপর মহলের ক্রোধের ভয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো ধারাবাহিকভাবে ভুল পরিসংখ্যান প্রকাশ করে গেছে। টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে বিবিএসের তথ্য-উপাত্তের যে পর্যালোচনায় হতো, ২০১৫ সালের পর তা একেবারে ভেঙে পড়ে।

শ্বেতপত্র কমিটি দেখিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্যানেল ডেটা ব্যবহার করে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারির চার পাঁচ বছর আগেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে গিয়েছিল। কমিটি শুধু গত ১৬ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করেছে। এতে দেখা গেছে, এই সময় প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে আনুষ্ঠানিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে কম ছিল। এই প্রবণতা উত্তরোত্তর কেবল বেড়েছে। অর্থাৎ এই বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।

ছবি : সংগৃহীত

প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকও সময়-সময় আপত্তি তুলেছে। বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির তথ্যগত পার্থক্য ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধির তথ্যে বিস্তর ফারাক নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও লোটাস কামাল ওই বছরের এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হবে বলে দাবি করেন। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে বড়জোর ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এডিবির পক্ষ থেকেও সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা হয়।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম-চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পার্থক্য বাড়তে থাকে। তবে ২০১৫-১৯ সময়ের মধ্যে প্রবৃদ্ধির এ পার্থক্য ৩ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়, যা কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।

দেখা যায়, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলা হলেও কর-জিডিপির অনুপাত বাড়েনি। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ ও রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সূচকগুলোর সাথে প্রবৃদ্ধির হারের কোনো মিল ছিল না ।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

দেশের তিনটি বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া...

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

পরিবর্তন করা হলো দেশের ৫৭ কলেজের নাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে দেশের ৫৭টি সরকারি কলেজ ও মহাবিদ্যালয়ের...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...