
বাজপাখির মতো শূন্যে উড়াল দিয়ে ওলি পোপের ক্যাচটি গ্লেন ফিলিপস যখন তালুবন্দি করলেন, তখন কেমন ছিল তার অনুভূতি। মাঠের দর্শকরাই বা কী ভাবছিলেন? গেল কয়েক বছরে এমন করে কাউকে ক্যাচ নিতে নিশ্চয় দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব! এই ক্যাচকে কেউ কেউ ৯২ এর বিশ্বকাপে জন্টি রোডসের নেয়া সেই ঐতিহাসিক ক্যাচের সাথেও তুলনা করছেন।
ক্রিকেট দুনিয়ায় তোলপাড় করা এই ঘটনার ম্যাচে ফিলিপসের আগের কাণ্ড জেনে অবাকই হবেন। এই ম্যাচে চারবার ক্যাচ দিয়েও সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুকের প্রথম ক্যাচটি ফেলেছিলেন এই ফিলিপসই। ব্রুকের ইনিংসে ১৮ রানের মাথায় দেয়া প্রথম ক্যাচটি ফেলে দেন ফিলিপস। এরপর ৪১ রানে টম লাথাম, ৭০ রানে ডেভন কনওয়ে ও ১০৬ রানে টম ব্লান্ডেল ফেলেছেন হ্যারির ক্যাচ।

নিয়মিত বিরতিতে জীবন পেয়ে হ্যারি ঠিকই তুলে নিয়েছেন নিজের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। দিন শেষে ১৩২ রানে অপরাজিত ব্রুক। তার সঙ্গে ৩৭ রান নিয়ে দিন শেষ করা বেন স্টোকসও জীবন পেয়েছেন। এদিন গুনে গুনে ৬টি ক্যাচ ফেলেছে কিউইরা। নিউজিল্যান্ড কাপ্টেন লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়াদের তালিকায় ইংলিশ দলপতিও আছেন। বেন ডাকেটেরও ক্যাচ ছেড়েছেন লামাথ।
ক্রো-থর্প টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হয়েছে ক্রাইস্টচার্চে। দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩৪৮ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৩১৯ রান করেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে ব্রুকের সঙ্গে ব্যাট করতে নামবেন বেন স্টোকস। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়কও একবার ক্যাচ দিয়ে জীবন ফিরে পেয়েছেন। স্টোকস কতটা ভোগাবেন, সেটা তৃতীয় দিনে বোঝা যাবে। তবে চারবার জীবন পাওয়া ব্রুক এরই মধ্যে কিউইদের যথেষ্ট ভুগিয়েছেন।

এত এত ক্যাচ মিসের কারণেই ব্রুক পঞ্চম উইকেটে পোপের সঙ্গে গড়েন ১৫১ রানের জুটি, আর ষষ্ঠ উইকেটে স্টোকসের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯৭ রান যোগ করে। অথচ ৭১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাট হেনরি চতুর্থ ওভারে জ্যাক ক্রলিকে তুলে নেওয়ার পর ডাকেট ও জ্যাকব বেথেলের কিছুটা দেখেশুনে খেলছিলেন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে দুই বলের ব্যবধানে বেথেল এবং জো রুটকে দুজনকে ফেরান নাথান স্মিথ। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা স্মিথের বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়েছেন ১৫০তম টেস্ট খেলতে নামা রুট।