
যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে দেশের এই দীর্ঘতম রেল সেতুর নাম কী হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
সেতুর নাম পরিবর্তন সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং এটি সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই কার্যকর হতে পারে।উদ্বোধনের প্রথম বছর ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সময় সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারির উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তন হতে পারে। তবে এখনও নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, সেতুটির মূল নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করছি। ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে।’
এর আগে মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করে। ট্রায়াল ট্রেনের শুরুতে ঘণ্টায় গতি ছিল ১০ কিলোমিটার, পরেরবার ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ছিল ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার। গত সোমবার ২৫ নভেম্বর সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়াল ট্রেন শুরু হয়। উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেনটি ২০ মিনিটে পশ্চিম পাড়ে পৌঁছায় এবং ১০ মিনিটে ফিরে আসে ও মাঝ পথে পশ্চিম পাড় থেকে ছেড়ে আসা অপর ট্রায়াল ট্রেনটি ক্রসিং করে।
নবনির্মিত এই সেতুটির দৈর্ঘ ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এটি দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু। সেতুটি চালু হবার পর, ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। নতুন এই সেতুতে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির ট্রেন চলাচলের উপযোগী ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যার ফলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেন।