
প্রিয়াংশ আর্য নামটা খুব বেশি পরিচিত মনে না হলেও আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সম্পর্কে ভালোই জানত। সে কারণেই আইপিএল নিলামে তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছে এই তিন দল।
তবে লড়াইয়ে জিতে শেষ পর্যন্ত তাকে পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ৩০ লাখ ভিত্তিমূল্যের এই ক্রিকেটার বিক্রি হন ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে, যা অ্যানক্যাপড ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কে এই প্রিয়াংশ আর্য? তার জন্য কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এত আগ্রহই বা কেন? সব প্রশ্নের উত্তর আছে তার পারফরম্যান্সে। আরও সংক্ষিপ্ত করে বললে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মারার ওস্তাদ এই ছেলেটি।
গত আগস্টে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে সাউথ দিল্লির হয়ে নর্থ দিল্লির বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার মনন ভরদ্বাজের বলে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মারেন। টুর্নামেন্টে ১০ ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০৮ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৯৮.৬৯। ১০ ইনিংসের মধ্যে ৪টিতে করেন ফিফটি, দুটিতে সেঞ্চুরি। ১০ ইনিংসে ছক্কা মারেন ৪৩টি। অর্প বয়সে যে এতকিছু করেছে তাকে নিয়ে কাড়াকাড়িতো হতেই পারে।
দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে এমন পারফর্ম করার পর সে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও সুযোগ পেয়েছে। দিল্লির হয়ে এই টুর্নামেন্টে নিলামের ঠিক আগের দিন ৪৩ বলে ১০২ রান করেন প্রিয়াংশ আর্য। এই ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার ও পীযূষ চাওলার মতো বোলার।
প্রিয়াংশ আর্য এখন পর্যন্ত কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ৫টি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১১টি।
প্রিয়াংশ আর্যর সঙ্গে ভারত জাতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীরেরও একটি মিলও আছে। গম্ভীরের সাবেক কোচ সঞ্জয় ভরদ্বাজের অধীনে অনুশীলন করেন এই প্রিয়াংশ আর্য। তার বাবা-মা দুজনেই দিল্লির একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করেন।