
দেশের ফুটবলের কিংবদন্তি জাকারিয়া পিন্টু। তার মৃত্যুতে শোকাতুর দেশের ক্রীড়াঙ্গন।
গতকাল সোমবার পৃথিবী ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। আজ ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ককে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার সঙ্গে শেষ বিদায় জানিয়েছেন।
জাকারিয়া পিন্টুর জীবনের সোনালী সময় কেটেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গনে। প্রাণপ্রিয় ক্লাবে আজ সকালে এলেন নিথর দেহে। ঢাকা জেলা প্রশাসন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার। কিংবদন্তি ফুটবলারের মোহামেডান থেকে শেষ বিদায়টা হয়েছে রাজসিকই।

জানাজার আগে ক্লাব, বিভিন্ন ফেডারেশন, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, সাবেক খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ক্রীড়াঙ্গনে দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জাকারিয়া পিন্টুর। প্রথমটি মোহামেডানে ও দ্বিতীয়টি বাফুফে ভবনের মাঠে। বাফুফের নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং অন্যান্য নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, সংগঠন, পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে প্রয়াত এই ফুটবলারকে।

১৯৪৩ সালে জাকারিয়া পিন্টু নওগাঁয় জন্ম নেন। তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ১৯৭১ সালে তার ভূমিকার জন্য। দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠন করে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ডিফেন্ডার পিন্টু ছিলেন সেই দলের অধিনায়ক।
জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৬টি ম্যাচে অংশ নেয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। যার ১২টিতেই জয় লাভ করে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রির অর্থ তুলে দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে।
১৯৭৩ সালে দেশ স্বাধীনের পর মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দেন জাকারিয়া পিন্টু। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেরও প্রথম অধিনায়কও!