কীভাবে দলের কোচকে দৌড়ের ওপর রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তার প্রমাণ পাওয়া য়ায় গেল এক বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে পাঁচবার কোচ পরিবর্তনের ঘটনায়। শেষ পর্যন্ত দেশটি তাদের সাদা বলের ক্রিকেটে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব দিয়েছে সাবেক পেসার আকিব জাভেদকে। তিনি পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানের দলের ক্রিকেটে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ ছিলেন অসি পেসার জেসন গিলেস্পি। তার জায়গায় জিম্বাবুয়ে সিরিজে আকিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন হবে। আকিব ওই টুর্নামেন্ট পর্যন্ত হেড কোচের দায়িত্বে থাকবেন।
এর আগে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্রাডবার্ন। বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। তার জায়গায় মোহাম্মদ হাফিজকে হেড কোচ করা হয়। কিন্তু স্থায়ী হতে পারেননি সাবেক ক্রিকেটার হাফিজ।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনকে হেড কোচের দায়িত্ব দেয় পাকিস্তান। গত মাসে তিনিও দায়িত্ব ছেড়ে গেছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্যাটের অধিনায়ক করেছে পিসিবি। এতে নাকি মত ছিল না কারস্টেনের। তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে অভিযোগ।
কারস্টেনের পর টেস্ট দলের কোচর গিলেস্পিকে ওয়ানডে ও টি-২০ দলেরও কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিসিবি তাকে দলের তিন ফরম্যাটের কোচ হওয়ার জন্য বলে। রাজিও ছিলেন গিলেস্পি। কিন্তু টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে তাকে যে বেতন দেওয়া হয় ওই বেতনে তাকে ওয়ানডে ও টেস্ট দলের দায়িত্বও চালিয়ে যেতে বলা হয়। ওই শর্তে রাজি হননি গিলেস্পি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত টেস্ট দলের কোচ থাকবেন সাবেক অজি অলরাউন্ডার।