নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ওই যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা রেললাইন থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ব্যাক্তির নাম মো. সাইদুর রহমান রহিদ। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কাফরুল এলাকার মো. ইসলাম শেখের ছেলে। জানা গেছে, আইটি প্রোভাইডার হিসেবে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মো. শহীদুল্লাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে নিহত সাইদুরের সঙ্গে নরসিংদী সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া সোনাতলা এলাকার রহমান মুন্সীর মেয়ে তহুরা খাতুনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ছয় বছরের একটি মেয়ে আছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সাইদুরের স্ত্রী স্থায়ীভাবে বাবার বাড়ি নরসিংদীতে থাকতে চেয়েছিল। এটা নিয়ে সাইদুর ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এর মধ্যে বুধবার সাইদুর ঢাকা থেকে নরসিংদী আসেন। পরে ঝগড়া করে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে সাইদুর ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত জানান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটগামী তুর্ণা নিশিতা ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরদিন রেল পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই মামুন জানান, ‘ভাইয়ের সাথে অভিমান করে আমার ভাবি তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমার ভাই ভাবিকে নিতে নরসিংদী আসেন। কিন্তু ভাবি আমার ভাইকে ঘরজামাই থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি হননি। পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যান। আমি গতকাল ভাবিকে অনুরোধ করেছি, আমার ভাইকে বাঁচাতে। ভাবি শুধুমাত্র ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করলেই আমার ভাই প্রাণে বেঁচে যেত।’
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহীদুল্লাহ বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী তুর্ণা নিশিতা ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে হসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।’