
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিকে পুলিশ, প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বারবার চেষ্টা করেও তিন দিন ধরে চলা এই সমস্যার সমাধান করতে পারছে না।
গাজীপুর মহানগরীর টিএনজেড গ্রুপের ছয়টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গত শনিবার থেকে ধরে টানা তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে আছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে মোগরখাল এলাকায় গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বেতন পরিশোধ করার জন্য সাত দিনের সময় চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা সে কথা রাখেননি। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, শ্রমিকরা দ্বিতীয় রাতও মহাসড়কে খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছেন। তারা পালাক্রমে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। সড়কের পূর্ব পাশে একটি অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়কে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।

এদিকে শ্রমিক অবরোধের কারণে তৃতীয় দিনের মতো গাজীপুর থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার গণপরিবহনের যাত্রী, শ্রমিক, কর্মচারী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। তারা বিকল্প পথ দিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা ও চন্দ্রা হয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস দিয়ে এবং জয়দেবপুর থেকে বনমালা হয়ে টঙ্গী দিয়েও বেশ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, আমাদের ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন, শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সকলে মিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের বারবার বলেছি রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে বেতন পাচ্ছে না, এটার দাবিতে তারা অবস্থান নিয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেছি আমরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের বিষয়টি বিজিএমইএ’সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে।