
নওগাঁর রাণীনগরে আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেনের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর-আদমদিঘী রাস্তার ভেঁটি-সিলমাদার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তবে বিএনপি নেতা মোসারব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির কাউন্সিলে ভোটার না হয়েও অধ্যক্ষ মালেক অন্য একজনের জাল ভোট দিয়েছেন। তাই তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে।
অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কলেজে যাচ্ছিলাম। পথে আবাদপুকুর-আদমদিঘী রাস্তার ভেঁটি-সিলমাদার এলাকায় পৌঁছালে রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব আমাকে থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এ সময় তিনি আমার কলার ধরে কিল, ঘুষি এবং লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন। পরে পাকা রাস্তার ওপর মারতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, মোসারব হোসেনের সন্দেহ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে আমি নাকি তার প্রতিপক্ষ এমদাদুলের ভোট করেছি। অথচ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, একজন অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে জাল ভোট দেয় আব্দুল মালেক? আর আমি কি অধ্যক্ষকে মারধর করতে পারি?
তিনি বলেন, আমি রোববার বিভিন্ন এলাকায় ফুটবল দিয়ে আসার সময় পথে মালেক (নবাব) ভাইকে বললাম, আপনি একজন প্রিন্সিপাল হয়ে এই কাজটি করা কি আপনার ঠিক হয়েছে? এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমার পেছন থাকা দুটি মোটরসাইকেলে থাকা ছেলেরা একটু বাগ্বিতণ্ডা করেছে। আমি তাকে কোনো প্রকার মারধর করিনি।
মোসারব হোসেন আরও বলেন, ওই অধ্যক্ষ এর আগেও বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। গত শনিবারও তিনি জাল ভোট দিয়েছেন। তার নাম সরদার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক নবাব। আর তার নামের শেষে নবাব থাকায় চাঁন আহম্মেদ নবাব নামের একজনের জাল ভোট দিয়েছেন তিনি।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, মোসারব অধ্যক্ষ আব্দুল মালেককে মারধর করেনি। মোসারবের সঙ্গে থাকা কিছু নেতাকর্মী কোনো একটা কারণে মালেকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। মোসারব নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। তারপরও বিষয়টি শোনার পর আমি মোসারবকে বকাবকি করেছি, সতর্ক করেছি।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাইমেনা শারমিন বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বিকেলে বিষয়টি মৌখিকভাবে আমাকে অবহিত করেছেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি।