
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, দেশের সকল ফেডারেশনের অভিভাবক সংস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও বিগত বছরগুলোতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে চোখে পড়ার মতো কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। তবে এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম আজ (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বরাবর চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছে পর পর তিন সভায় কোন পরিচালকগণ অনুপস্থিত ছিলেন।
বিসিবির গঠনতন্ত্র মোতাবেক টানা তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট পরিচালক পদশুন্যের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই শুন্য পদ পুরণে বিসিবি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চলতি মেয়াদে বিসিবির প্রতি সভায় পরিচালকদের উপস্থিতিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক ২৩ – ক্লাব ক্যাটাগরিতে থেকে ১২, জেলা-বিভাগীয় কোটায় ১০, সাবেক খেলোয়াড় কোটায় ১ । এনএসসি কোটায় ২ জন পরিচালক মনোনীত হন। সব মিলিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ২৫ জনের।
যে কোনো সংস্থা / প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা হলেও গঠনতন্ত্রের সঙ্গে কার্যক্রমের ব্যাপক ফারাক। বিসিবিকে দেয়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে গঠনতন্ত্র অনুসরণের সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। দীর্ঘদিন পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে তদারকিমুলক চিঠি প্রেরণ করল।