
শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বাদল আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে বাদলের মৃত্যুর পর তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মৃত্যুর আগে তাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িতদের নাম ওই জবানবন্দিতে উল্লেখ করে যান তিনি।
বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া বাদল হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতাররকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ভুইয়ারচর এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (২৮), সোহেল রানার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৬) ও খুনুয়া চরপাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মাজাহারুল ইসলাম মুরাদ (২৮)। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে বাদল গ্রেফতারকৃত তিনজনসহ আরও অন্তত সাত খুনির কথা নিজ মুখে স্বীকার করে গেছেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ মামলার ৩ আসামিকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বাদল। তিনি সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত বাদলের স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় কৃষক লীগ নেতা ও কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীকে এক নম্বর আসামি এবং কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানকে ২ নম্বর আসামিসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।