
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন বাংলাদেশের জন্য ঋণের সুদের হার কমাতে ঢাকার অনুরোধ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের নির্ধারিত চীন সফরের একদিন আগে তিনি আজ এ কথা জানিয়েছেন।
এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রদূত তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে, চীন বাংলাদেশের জন্য সুদের হার কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেইজিং ঢাকার পূর্ববর্তী অনুরোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে পানি প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত।
তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন বাংলাদেশের সর্বকালের, সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু এবং তারা দৃঢ়ভাবে সরকার নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, তৌহিদ হোসেন সোমবার পাঁচদিনের সরকারি সফরে বেইজিং যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার এটিই প্রথম চীন সফর।
রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আরও জানান, আসন্ন সফরকালে চীনা পক্ষ বাংলাদেশের সঙ্গে পানিপ্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আগে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশিদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য কমপক্ষে তিন থেকে চারটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল মনোনীত করতে চীনকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডের নিকটবর্তী চীনের কুনমিংয়ে এটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
কুনমিং, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। কুনমিং এবং বাংলাদেশের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১৩২৪ কিলোমিটার।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে একটি পূর্ণাঙ্গ তৃতীয় স্তরের চীনা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জমি এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করতেও প্রস্তুত।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য সবকিছু করবে।
রাষ্ট্রদূত এ সময় তৌহিদ হোসেন ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি আলোচনার জন্য নির্ধারিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ২০-২৪ জানুয়ারি চীনে সরকারি সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোসেন চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তৃতা দেবেন এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সাংহাইতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করার কথা রয়েছে।