
রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত হলেন মো. আব্বাস ও আরিফ আল কবির।
গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আসিফ নজরুল এ ঘটনার কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, এই ঘটনার অবশ্যই বিচার হবে। দুইজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে।
আর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রাতে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার তদন্ত হবে। আর রাজপথে কাউকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে বুধবার সকালে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে দুপক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক, নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন বুধবার সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে।
একইদিনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়। তখন ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি। এরপর সরকার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ সংস্করণ থেকে সেটি সরিয়ে নতুন একটি গ্রাফিতি সংযুক্ত করা হয়।