
যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
রয়টার্স বলছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লিখেছেন, তার বিষয়টি পর্যালোচনার পর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডর্ড বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তাকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি মন্ত্রীত্বের কোনো নিয়মের ব্যতয় ঘটাননি।
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের কার্যালয়ের দেওয়া একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমি পরিস্কার করছি, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি আপনার (টিউলিপ) তরফে মন্ত্রীত্বের নিয়মের ব্যাতয় বা আর্থিক অস্বচ্ছতা খুঁজে পাননি।’
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনক।
এর একদিন পরই টিউলিপকে পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায় দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন। এই জোটে রয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন।
এক বিবৃতিতে জোটটি জানায়, টিউলিপ ব্রিটিশ সরকারে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত টিউলিপের।