দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত স্বর্ণের খনিতে ২ মাস ধরে আটকে থেকে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। মাটির নিচে এখনও চার শতাধিক শ্রমিক জীবিত আছেন। মঙ্গলবার এসব তথ্য দিয়েছে মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া)।
সাউথ আফ্রিকায় উত্তর পশ্চিমের শহর স্টিলফন্টাইনের পরিত্যক্ত একটি খনিতে গত ১০ জানুয়ারি ধারণ করা ভিডিওতে বীভৎস দৃশ্য দেখা যায়। এতে প্লাস্টিকে মোড়ানো অসংখ্য মরদেহ চোখে পড়ে।
আরেকটি ভিডিওতে বেশ কয়েকজনকে দেখা যায় জীবিত অবস্থায়। তারা জানাচ্ছেন সাহায্যের আবেদন। তারা খাবার ও পানির সংকটে ভুগছেন।
২ মাস আগে পুলিশ ও শ্রমিকদের সংঘাতের জেরে খনিটি সিল করে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের বের হতে বাধ্য করতে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা বের হতে চাননি। এরপর থেকেই শ্রমিকরা মাটির নিচে আটকে আছেন।
পরে বের হয়ে আসার আকুতি জানালে দেশটির খনিজ সম্পদ বিভাগ শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। খাঁচা দিয়ে আটকে পড়াদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে।
ন্যাশনাল সিভিকস অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র মজুকিসি জাম বলেন, ‘খনির ভেতরে কী অবস্থা তা জানতে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠাই। তাদেরকে একটি বড় খাঁচায় পাঠানো হয় যাতে কিছু মানুষকে তুলেও আনা যায়। পরে স্বেচ্ছাসেবকরা জানায়, প্রায় ৪০০ শ্রমিক এখনও সেখানে আটকে আছে। যাদের শিগগিরই বের করা দরকার। এছাড়া, মরদেহ আছে শতাধিক।’
খনি শ্রমিকদের এমন মর্মান্তিক ঘটনায় মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সহায়তা চাওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।