
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। বিমানবন্দরে মা খালেদা জিয়াকে আলিঙ্গন করেন তারেক রহমান। এসময় আবেগঘন পরিবেশের অবতারণা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সটি সফলভাবে অবতরণ করে। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে তাঁর বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এর আগে, ২০১৭ সালে চিকিৎসার প্রয়োজনে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে উড্ডয়ন করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহা হয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে যায়।

খালেদা জিয়াকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় তা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বিশেষ সহায়তা হিসেবে রাজ পরিবারের পাঠানো অত্যাধুনিক চিকিৎসা-ব্যবস্থা সম্বলিত একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের ৬ চিকিৎসক, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানসহ ১৫ জন।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকেরা এর আগে জানিয়েছিলেন, লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
গত সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, লন্ডনে পৌঁছেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হবেন বেগম খালেদা জিয়া।

উন্নত চিকিৎসার জন্য এ বিদেশযাত্রার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হলো বেগম খালেদা জিয়ার। এর আগে, সবশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার প্রয়োজনে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে থেকেই বিদেশে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অসুস্থতার কারণে কয়েক দফা বাতিল হয় বিদেশ যাত্রার তারিখ।