
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এ সময় থানা ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল শিকদারকে (৩৮) পুলিশ আটক করে। তিনি স্থানীয় মৃত নুরুল হকের ছেলে। আটকের পরপরই শতাধিক জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা থানার মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ করে থানা ঘেরাও করে রাখেন। তবে পুলিশ ও জামায়াতের নেতারা থানা ঘেরাওয়ের কথা অস্বীকার করেন।
সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বারী থানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দল করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। দল করার কারণে কোনো নিরীহ নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এই জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই। প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সে জন্য ছাত্র জনতা রক্ত দিয়েছে।’
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।’
মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, ‘অন্য একটি দলের নেতারা তাঁকে (শফিকুলকে) তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তারা তাঁকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর বিষয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতারা থানায় গিয়েছেন।’
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ সময় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তাঁকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানার সামনে জড়ো হন।’
২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আটক শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছেন বলে জানা গেছে।