
দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় নিহত ফায়ার ফাইটার সোয়ানুর জামান নয়নের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর প্রাঙ্গণে তাঁকে অশ্রু ভেজা চোখে বিদায় জানান সহকর্মীরা।
নিজ কর্ম দক্ষতায় মাত্র দুই বছরেই ফায়ার সার্ভিস স্পেশাল টিমে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দক্ষ কর্মীর সুবাদে তাকে সম্প্রতি সিলেট থেকে নিয়ে এসে রাজধানীর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে সংযুক্ত করা হয়।
সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় নিহত হন নয়ন। নয়নের এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার থেকে শুরু করে সহকর্মীরা। দেশের পতাকায় মোড়ানো ফায়ার ফাইটার নয়নের মরদেহ যখন সেখানে রাখা হয় তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সবার চোখ তখন অশ্রুসিক্ত।

জানাজার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ফায়ার সার্ভিসে সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে ফায়ার ফাইটার নয়নকে শ্রদ্ধা জানান।
নিহত সোয়ানুর জামান নয়ন (২৪) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান আটপড়িয়া গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জামানের ছেলে। তিনি দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের মধ্যে নয়ন ছিল ছোট।
জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গতকাল আমাদের ফায়ার ফাইটার নয়ন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। আমরা সবাই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। নয়নের বয়স খুবই কম ছিল। সে মাত্র দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করছিল। কর্তব্যরত অবস্থায় সে মারা যায়, তার মা বাবার যে কী অবস্থা সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি। সে তার বাবা-মার একমাত্র ছেলে। কিছুদিন আগে সিলেটে থেকে পোস্টিং হয়ে ঢাকায় এসেছে। সে খুবই দক্ষ ফায়ার ফাইটার ছিল তাই তাকে স্পেশাল টিমের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল।