কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক শিশু (৮) রয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে ৬১৯টি শেল্টার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে লম্বাশিয়া ক্যাম্প-সি ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন।
তিনি বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। কিন্তু বাতাসের কারণে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কীভাবে আগুন ধরেছে, সেটি এখনও জানা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশকিছু ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া-১ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এরপর আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও কর্মী কামাল হোসেন বলেন, আমরা অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি মানুষের চিৎকার। পরে দেখি আগুন। পলিথিনের ঘর হওয়ায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গারা আতঙ্কে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে অনেকে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে সবার সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে প্রায় ৬১৯ শেল্টার পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক শিশু রয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস কক্সবাজার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম।