নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে প্রাইভেট কারের চাপায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২) নিহতের ঘটনায় তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মোহসীনের আদালত শুনানি শেষে তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন, প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুন (২০)। তিনি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। অন্য দুই আসামি হলেন ওই গাড়িতে থাকা মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার রিজওয়ানুল করিমের ছেলে মিরাজুল করিম (২২) এবং উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাহাউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আসিফ চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, সড়ক নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে পূর্বাচল ৩০০ ফিট নীলা মার্কেট (কুড়িল-কাঞ্চন সড়ক) এলাকায় পুলিশের তল্লাশচৌকিতে একটি প্রাইভেটকার সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দাঁড়ানো বুয়েটের তিন মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন মুহতাসিমের দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান (২২) ও অমিত সাহা (২২)। ঘটনাস্থল থেকেই গাড়িচালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ওই দিন ধাক্কা দেওয়া গাড়ি থেকে একটি খালি মদের বোতল ও একটি বাংলাদেশি বিয়ারের ক্যান পাওয়া যায়।
গত শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিন আসামির ডোপ টেস্ট করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান বলেন, মাদক পরীক্ষায় প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুনের শরীরে গাঁজা ও অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। আর আরোহীদের মধ্যে মিরাজুল করিমের শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। অপরজন আসিফ চৌধুরীর শরীরে অ্যালকোহল–জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) আসামিদের দুজনের শরীরে অ্যালকোহল ও গাঁজার উপস্থিতি পাওয়ায় শনিবার রাতে নতুন করে মাদক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।