চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত হাফিজুর রহমান ওরফে সুরুজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সুরুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পেঁচিপাড়া গ্রামের মৃত ভাদু শেখের ছেলে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রইস উদ্দিন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেলে বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকেই তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। ককটেল বিস্ফোরণের আলামতও পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুরুজ আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি ককটেলের কারিগর। ব্যবহারের জন্য অনেক দিন আগে তৈরি করা ককটেলগুলো রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল। শুকানোর পর সুরুজ ককটেলগুলো ব্যাগে ভরছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তার মুখমন্ডলসহ শরীর ঝলসে যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিযায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রামেকের অর্থোপেডিকস বিভাগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরুজ। কিন্তু গত রোববার সকাল থেকেই তিনি ছাড়পত্র না নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। সে সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস। রামেক থেকে পালিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রইস উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সুরজ। সেখানেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।