নাটোরের বড় হরিশপুরে কাশিমপুর মহাশ্মশানের পাহারাদার তরুণ কুমার দাসকে (৬০) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় হাত পা বেঁধে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত তরুণ কুমার দাস শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়া এলাকার প্রয়াত কালীপদ দাসের ছেলে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দায় তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় শ্মশানের অন্য কর্মচারীরা।
মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যনারায়ণ রায় টিপু জানান, শনিবার সকালে মহাশ্মশান মন্দিরের অন্যান্য পাহারাদাররা আমাকে ফোন দিয়ে জানান, শ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দায় তরুণ কুমার দাসের মরদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। খবর শুনে আমি শ্মশান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশে খবর দেই।
তিনি আরও জানান, মহাশ্মশান মন্দিরের, দান বাক্সের, ভান্ডার ঘরের তালা ভাঙা এবং গ্রিল কাটা। সম্ভবত তাকে হত্যা করেই এখানে মন্দিরের টাকা এবং বাসন-কোসন চুরি করা হয়েছে।
নিহতের ভাই পলান দাস বলেন, তার ভাই তরুণ দাস মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়ি থেকে আলাদা থাকতো। সে কিছুদিন ধরে কাশিমপুর মহাশ্মশানেই থাকতো।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, শ্মশানে একজনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে আছে, এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্মশানের ভান্ডার ঘরের মালামাল লুটের কিছু আলামত প্রত্যক্ষ করি।
তিনি আরও বলেন, সম্ভবত এই চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যবান বাসন-কোসনসহ চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
ওসি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।