বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ঘোষণা করা ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকায় তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও শ্রম আইন অনুযায়ী, ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক।
এদিকে শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া আশপাশ থেকে ময়লা আবর্জনা এনে সড়কে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। এতে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, কাশিমপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করায় ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। ওই রুট ব্যবহারকারীরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাতায়াত করছেন। ঢাকামুখী উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর এলাকা ও কালিয়াকৈর-ধামরাই আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে যোগাযোগ স্বাভাবিক রেখেছেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু তালেব বলেন, শ্রমিকেরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছের। চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোয় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।