
কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড স্থানীয় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি এই ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা নানা চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর আরও চাপ বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন কমেছে, নিজ দলের মধ্যে বেড়েছে তার বিরোধিতা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিকে বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। এমন বাস্তবতায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ফ্রিল্যান্ড।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা পদত্যাগপত্রে ফ্রিল্যান্ড জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে ট্রুডো তাকে জানিয়েছেন, তিনি তাকে আর এ পদে চান না। তিনি তাকে মন্ত্রিপরিষদের অন্য একটি দায়িত্ব দিতে চান।’
ফ্রিল্যান্ড লিখেছেন, ‘চিন্তাভাবনার পর আমি এ সিদ্ধান্ত পৌঁছলাম যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করাটাই আমার জন্য একমাত্র সৎ ও কার্যকর পথ। কানাডার জন্য সবচেয়ে ভালো পথ কী হতে পারে, তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি ও আমার মধ্যে মতানৈক্য চলছিল।’
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের ঘোষণায় ট্রুডোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে এমন এক বাস্তবতায় ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন, যার মাত্র কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রুডো।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, অনথিভুক্ত অভিবাসী ও মাদক ‘আগ্রাসন’ বন্ধ করা না হলে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।