টিম সাউদিকে বিদায় বেলাটা স্মরণীয় করে রাখলো নিউজিল্যান্ড। ক্রো-থর্প সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডকে ৪২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কিউইরা। সাড়ে ছয়শ’ রানের পাহাড়ে উঠতে গিয়ে ধারেকাছেও যেতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।
হ্যামিল্টনে ৬৫৮ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ড মাত্র ২৩৪ রানে অলআউট হয়েছে। এটি ইংল্যান্ডের ইতিহাসে চতুর্থ বৃহত্তম টেস্ট পরাজয়। আর নিউজিল্যান্ডের এটি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানের জয়। তিন ম্যাচের সিরিজ যদিও আগেই জিতে নিয়েছিলো ইংল্যান্ড। ফলে সিরিজ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে।
১০৭টি টেস্ট খেলা সাউদি তার শেষ টেস্টে ২/৩৪ রান নিয়ে অবসর গ্রহণ করেছেন। নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারী স্যার রিচার্ড হ্যাডলির পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাউদি।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে ব্যাটিং করেননি, ফলে ৯ উইকেট নেওয়ার দরকার ছিল কিউইদের। ১৮/২ রানে দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড কখনোই ৬৫৮ রানের লক্ষ্যের কাছাকাছিও যেতে পারেনি। জ্যাকব বেথেল ৭৬, জো রুট ৫৪ এবং হ্যারি ব্রুক মাত্র ১ রান করে আউট হওয়ার পর ইংল্যান্ডের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
বেথেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পর রুট আউট হয়ে যান। মিচেল স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। প্রথমে নট আউট দেওয়া হলেও নিউজিল্যান্ড রিভিউ নেয় এবং বল ট্র্যাকিং দেখায় যে বলটি মিডল স্টাম্পে লাগতো। ৩৩ বছর বয়সী রুট আরও ২৮ রান করলে টেস্ট ক্রিকেটে ১৩,০০০ রান করার ক্লাবে প্রবেশ করতেন।
প্রথম দুই টেস্টে শতরান করে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক হওয়া হ্যারি ব্রুক সিডন পার্কে দ্বিতীয়বার সস্তায় আউট হন। উইল ও’রুর্কে-র বল নিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। বামহাতি ব্যাটসম্যান বেথেল ১৩টি চার ও একটি ছক্কা সহ ১৩ চারের ইনিংস খেলেন। কিন্তু সাউদির ওয়াইড ডেলিভারিতে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ আউট হন এই ব্যাটার।
ওলি পোপ ১৭ রান করে ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হন। এরপর গাস অ্যাটকিনসন ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন কিন্তু স্যান্টনারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ম্যাথিউ পটস এবং ব্রাইডন কার্সও স্যান্টনারের বলে আউট হন।
স্যান্টনার সাত উইকেট নিয়ে হন ম্যাচের সেরা পারফর্মার। ব্যাট হাতে তিনি ৭৬ ও ৪৯ রান করেছেন। বিদায়ী দিনে ডানহাতি পেসার সাউদি পান সতীর্থদের গার্ড অব অনার। জিতে শেষ করায় বাড়তি তৃপ্তি যোগ হলো তার।