‘ফ্যাসিস্টরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে ওই দেশের গণমাধ্যম, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সামনে এমনভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।`
আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমন মন্তব্য করেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের এই প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যে স্বাধীনতাসংগ্রাম, সেখানে মানুষের জনআকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। যে রাষ্ট্র তৈরি হচ্ছে, সেই রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু গত ৫৩ বছরে আমরা দেখেছি, নাগরিকদের জন্য এগুলো প্রতিষ্ঠা হয়নি; বরং বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো স্রোতে হেঁটেছে।’
ফ্যাসিস্ট ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো তৎপর উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে অনেক লড়াই হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর বদল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও তার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, আইনের সংস্কার করা—এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক সংগ্রামে আমাদের কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়নি।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। এ সময় বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা বাতিল, প্রতিষ্ঠান ও আইনের সংস্কার এবং একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান জোনায়েদ সাকি। ক্ষমতায় যারা যাচ্ছে, তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জবাবদিহিতার সেই কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়ে মি. সাকি বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে।’