বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হলেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হলে তা অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়। সাকিবের বোলিং অ্যাকশন মূল্যায়নের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে ইসিবি।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানিয়েছে, বোলিং অ্যাকশনে পাস না করা পর্যন্ত ইসিবির আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে বল হাতে নিতে পারবেন না সাকিব।
এর আগে, সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে খেলার সময় আম্পায়াররা তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সমারসেটের হয়ে ম্যাচটিতে বেশ দারুণ বলও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়াররা রিপোর্ট দেওয়ায় সাকিবকে দিতে হয় পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার পাস করতে পারেননি।
যেদিন মূল্যায়ন পরীক্ষা দিয়েছেন অর্থাৎ, এ বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞা। তবে বোলিংয়ের অধিকার ফিরে পেতে সাকিবকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুসারে, বোলিংয়ের সময় স্পিনাররা তাদের কনুই সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রিতে ভাঙতে পারেন। সাকিবকেও প্রমাণ করতে হবে, তিনিও কনুই ১৫ ডিগ্রির কম ভেঙে বোলিং করতে পারেন। পুনঃ মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইসিবির কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না বাংলাদেশি তারকা।
কাউন্টি খেলে ফেরার পর ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের জার্সিতে দুটি টেস্টও খেলেন সাকিব। এরপর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন তিনি। এই মুহূর্তে আছেন শ্রীলঙ্কায়, সেখানে খেলছেন লঙ্কা টি-টেন টুর্নামেন্ট।
সম্প্রতি সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নানা বিতর্কে জর্জরিত। বাংলাদেশে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পর থেকে তাকে ঘিরে বিতর্ক চলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারসহ অবস্থান করছেন সাকিব। অক্টোবরে মিরপুরে সম্ভাব্য বিদায়ী টেস্টেও অংশ নেননি তিনি। ইসিবির এই সিদ্ধান্ত সাকিবের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।