অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত দুই দিন ধরে ভোর বেলা কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসে অনুভব হচ্ছে কনকনে শীত। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্য জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তেঁতুলিয়া অফিস।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, গতকাল রোববারের চেয়ে আরও তাপমাত্রা কমেছে। তাপমাত্রা কমে গত ১০ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। তার আগে শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে দুই হাজার কম্বলের বরাদ্দ পেয়েছি। তা বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশুস্বর্গ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারা ৭ হাজার কোমলমতি শিশুদের শীতের উপহার দিচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শীতবস্ত্র দিতে শুরু করেছে। শীতার্তদের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত।’
তাপমাত্রা কমে আসায় জেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিতে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি,কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।