
বহু সম্প্রদায়ের দেশ কানাডা নতুন আসা অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য নতুন বার্তা দিয়ে প্রচার শুরু করবে। দেশটি জন্মলগ্ন থেকেই প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিলেও এখন ‘আশ্রয় নেওয়া সহজ নয়’ বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচার চালাবে।
কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত স্প্যানিশ, উর্দু, ইউক্রেনীয়, হিন্দি এবং তামিলসহ মোট ১১ ভাষায় বিজ্ঞাপন দেবে তারা। আর এই বিজ্ঞাপনে খরচ হবে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে যে কেউ গুগলে ‘হাউ টু ক্লেইম অ্যাসাইলাম ইন কানাডা’ অথবা ‘রিফিউজি ইন কানাডা’ সার্চ করলে অটোমেটিক্যালি একটি স্পন্সরড কনটেন্ট সেই সার্চে চলে আসবে, যেটি ‘কানাডা অ্যাসাইলাম সিস্টেম, অ্যাসাইলাম ফ্যাক্ট’ এই শিরোনামে অ্যাসাইলাম সংক্রান্ত তথ্য এবং তারা যে বিজ্ঞাপনটা প্রচার করতে যাচ্ছে সেই বিজ্ঞাপন গুগল সার্চে প্রথমে চলে আসবে।
কানাডায় আসতে ইচ্ছুক নতুন অভিবাসী যখনই গুগল সার্চ করবে তখনই তাদের সামনে দেশটির সরকার প্রদত্ত বিজ্ঞাপন যেখানে চলে আসবে যে, কানাডায় আশ্রয় নেওয়া অথবা অ্যাসাইলাম ক্লেইম করা সহজ নয়।
অতিরিক্ত অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে রাজনৈতিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকার। অন্যদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় ট্রুডোর ওপর নতুন চাপের সৃষ্টি হয়েছে।
কানাডার সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার অ্যাসাইলাম ক্লেম জমা হয়ে আছে। এগুলো শেষ করতে ৪৪ মাস সময় লেগে যাবে। এর মধ্যে তারা খুঁজে বের করবে কারা অ্যাসাইলাম পাওয়ার যোগ্য এবং কারা যোগ্য নয়।
কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা কানাডায় অ্যাসাইলাম পাওয়ার জন্য আবেদন করবে তাদের ওপর কানাডা সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রন নেই। কিন্তু কাদেরকে অ্যাসাইলাম দেওয়া হবে সে ব্যাপারে কানাডা সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আর সেই কারণেই আগেভাগে তারা বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করছে, যাতে অ্যাসাইলাম যারা চাইবেন তারা যেন বুঝে শুনে তারপর অ্যাসাইলাম আবেদন করেন, না হলে আবেদন রিফিউজ হবে।