ডেস্ক রিপোর্ট:
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তার সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ম্যানহাটনের ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ এক বিবৃতিতে টাইরেস হাসপিলের শাস্তির কথা জানান।
নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী ফাহিমকে হত্যাকারী তার সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যা, দুটি দ্বিতীয় ডিগ্রির গ্র্যান্ড লুটপাট ও একটি দ্বিতীয় ডিগ্রির চুরিসহ অন্যান্য বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
২০২০ সালে নিউ ইয়র্কে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন বাংলাদেশি তরুণ ও পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম সালেহ। এ ঘটনার তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
চলতি বছরের ২৪ জুন ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্ট উক্ত মামলায় হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালতে হাসপিল জানান, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে তিনি ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে এ বিষয়টি আড়াল করতেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। এরপর বিষয়টি আড়াল করতে হত্যার পর তার ইলেকট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ড করেন। এ ঘটনায় হাসপিলকে ফাস্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন এল. ব্র্যাগ জুনিয়র বলেন, ‘ফাহিম সালেহ একজন দয়ালু, উদার এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তি যিনি বিশ্বকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং শিরচ্ছেদ করেছেন তার সহকারী হাসপিল। এমনকি বিবাদী একটি বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অর্থায়নের জন্য তার কাছ থেকে চুরি করার পরেও, ফাহিম তাকে একটি দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছিলেন। যদিও আজকের সাজা সালেহকে ফিরিয়ে আনবে না, আমি আশা করি এটি তার পরিবারকে শোকানুভুতি বন্ধ করার সহায়তা প্রদান করবে, কারণ তারা তার বেদনাদায়ক ক্ষতির জন্য শোক চালিয়ে যাচ্ছে।’