‘ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে এ দেশে কেউ কোনও আক্রমণের শিকার হবে না, সেটি নিশ্চিত করেছে সরকার, আর তা করা হবেও।`
আজ সোমবার বিকেল ৪ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় বিদেশি কুটনৈতিকদের সাথে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে বার্তা দিতে চাই। এ সরকার কোন সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম বরদাস্ত করবে না। এই মেসেজটি সবাইজে দিতে। এ ব্যাপারে আইন তার গতিতে চলবে।`
তিনি আরও বলেন, কোনো মানুষ নিজের ধর্মের কারণে ছোট হবে না, ‘সরকার এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে তাই জানানো হয়েছে। কিছু ঘটনা ঘটেছে তা অস্বীকার করা হচ্ছে না। তবে যারা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।`
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ‘আমরা ভারতের সাথে একটা সুসম্পর্ক চাই। ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে যাবে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী।`
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান থেকে ভারতের সাথে সুন্দর সম্পর্ক চাই। অন্তরের চেয়ে স্বার্থটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরস্পরের স্বার্থটা সামনে রেখে চলা এখন মূল বিবেচ্য বিষয়।`
এসময় ভারতীয়দের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে উসকানিমূলক বলে আখ্যা দিয়ে তৌহিদ হোসেন জানান, ‘পরস্পরের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারতের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ।`
পররাষ্ট উপদেষ্টা বলেন, দেশের সমসাময়িক বিষয়ে কুটনৈতিকগণের জানার বিষয় ছিল, উত্তরে আমি এটা বলার চেষ্টা করিনি যে কোথাও কোন সমস্যা নাই। সমস্যা যা চিহ্নিত করা যাচ্ছে, আমরা সমাধানের ট্রাই করছি।
ব্রিফিং এ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেক বেশি গন্ডগল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সবার সহযোগীতায় তা আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছি। প্রতিবছর দুই একটি ঘটনা দেশে থাকে। যারা করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’র বাংলাদেশ ইস্যুতে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে ভারত সরকারকে উদ্যোগ নিতে বললেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অবস্থান থেকে এই ধরণের বক্তব্য দেয়া উচিত না।`
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি করছে ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশ, সেটি পরিষ্কার করতে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রকৃত পরিস্থিতি জানানো হলো আজ।`
সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে বৃটেনের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটি একপেশে আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ নিয়ে লন্ডনের সাথে কথা বলবে ঢাকা।