
শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থপাচারসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা শ্বেতপত্র হাতে পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি প্রকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্রটি তুলে দেন। এসময় এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি (শ্বেতপত্রটি) আমাদের দেখাবে কী অবস্থায় আমরা অর্থনীতি পেয়েছি। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে খোলাখুলিভাবে অর্থনীতিতে লুটপাট হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অনেকের সাহস ছিল না এটি প্রতিহত করার।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এই শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সময়ে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট ও পরিসংখ্যানগত কারসাজির মাত্রা ছিল ভয়াবহ।
এসময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং এবিষয়ে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না।`
শ্বেতপত্রটি ৩০টি অধ্যায়ে এবং ৪০০ পৃষ্ঠার বিশদ বিবরণীসহ প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে। ‘ডিসেকশন অফ এ ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভ’ শীর্ষক এই শ্বেতপত্র প্রতিবেদন শিগগির জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।