
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা প্রয়োজন। এ জন্য গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে জাতীয় সংলাপ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ড. কামাল হোসেন।
এসময় বর্তমান পরিস্থিতিতে গণফোরামের সব নেতা-কর্মী বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা আবারও প্রমাণ করেছে এই দেশ কোনো স্বৈরশাসকের নয়, এই দেশ জনগণের।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার কারণ নাই, সংস্কার আমরা করব।’
স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কখনো আনসারের বিদ্রোহ, কখনো সংখ্যালঘু, কখনো (ব্যাটারিচালিত) অটোরিকশার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।’
সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা সেটা করতে চাই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার আর কোনো পথ নেই।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস ভেঙেছে, বাংলাদেশে তার কোনো প্রতিক্রিয়া হয় নাই। এটা সুখবর, এটা বাংলাদেশের শক্তি। অন্যরা যা করে, বাংলাদেশের মানুষ তা করে না। এই বাংলাদেশই আমরা চেয়েছিলাম।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।