
খেলাপি ঋণের (ব্যাড লোন) টাকা আদায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যাংকের পাওনা আদায়ে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে খেলাপি ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কেরামত হোসেন মোস্তান রোডের ঋণখেলাপি মোশারফ হোসেনের বাড়ির সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালে বাড়ি নির্মাণের জন্য মোশারফ হোসেন কুষ্টিয়া বড়বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখা ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মাত্র দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। বাকি আর কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ করা হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বাড়ির সামনে এমন কর্মসূচি দেখতে আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। তাঁরা ব্যতিক্রম এই কাজ দেখে কারণ জানতে চান। পরে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি সবাইকে অবগত করেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন অন্তত ২০ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী। ব্যানার হাতে আধা ঘণ্টা অবস্থান করে তাঁরা চলে যান। সেখানে উপস্থিত অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া বড়বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এনামুল হক বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে এই প্রথম খেলাপি ঋণ আদায়ে গ্রহীতার বাড়ির সামনে ব্যতিক্রমী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। ঋণ গ্রহণের পর বেশির ভাগ মানুষ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সেই ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করেন। এ রকম আরও কয়েকজন গ্রহীতা রয়েছেন।
মোশারফ হোসেনকে বাড়িতে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাড়ির অন্য সদস্যরাও এ সময় কথা বলতে রাজি হননি।
ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায়ে সামাজিক চাপ প্রয়োগের এ কর্মসূচি ইতোমধ্যেই এলাকায় আলোড়ন তুলেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনেও ব্যাংকটির কর্মকর্তারা এমন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।