
বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর দায় ইসকন নেবে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রক্ষ্মচারী। তিনি বলেছেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিন্ময় দাস ইসকন থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কাজ ও বক্তব্য একান্তই তার নিজের। তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের দায় ইসকন নেবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। সেই সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রক্ষ্মচারী। এ সময় ভারতের মন্তব্যে সম্পৃক্ত না থাকার দাবিও করে সংগঠনটি।
চারু চন্দ্র দাস ব্রক্ষ্মচারী বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে পুনরায় অবহিত করতে চাই যে, অনেক মাস আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের সাংগঠনিক পদ/পদবীসহ ইসকনের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, তাদের দ্বারা সংঘটিত কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।’
ইসকনের এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রক্ষ্মচারী বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইস্কন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব, লীলারাজ গৌর দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য এবং কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।’
‘এরপরও দুঃখজনকভাবে কিছু বিশেষ মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মতো অযৌক্তিক দাবি তুলছে’ যোগ করেন তিনি।