
রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ পাওয়ায় মিয়ানমার ডিফেন্স সার্ভিসের কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লাইনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান তদন্তকারী।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিনিয়র আইনজীবী ইসা এম্বায়ে ফাল এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, গণহত্যা পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সহযোগিতা চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ইন্টারনাটিওয়াল ক্রিমিনাল কোর্ট-আইসিসি) কারিগরী সহায়তা করতে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) এক কৌঁসুলি বলেন, তিনি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নেতা মিন অং হ্লায়িংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করবেন। রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগে মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রেক্ষিতে এই পরোয়ানা চাওয়া হবে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম নিপীড়ন এবং বিতাড়নের ঘটনায় জেনারেল মিন অং হ্লায়িং এর ওপর অপরাধের দায় বর্তায় সেটি বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি’ আছে- এ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন তিন বিচারকের প্যানেল।
তিন বিচারকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা নেই। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে সাধারণত প্রায় তিন মাস সময় লাগে।
তবে মিয়ানমার জান্তা সরকার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। সাধারণ মানুষকে নিশানা করা হয়নি বরং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করে এসেছে তারা।
এ সময় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের অন্যান্য আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।