
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতা নাগরিক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘বিএনপির একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বলতে চাই, জনগণ গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে বলা শুরু করেছে দেশের সব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা হিন্দুস্থান থেকে বসে বসে করা শুরু করেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নেই। তবে তার প্রেতাত্মারা দেশে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘সামান্য একটি বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামে আমার এক বন্ধুকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আজ বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক লোক এ বিষয়টাকে ইস্যু করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
ভারতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কীসের ইঙ্গিত, কীসের আলামত। সে দিন তো দেখিনি, যে দিন আপনারা আমাদের মানুষকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিদিন যখন মানুষকে হত্যা করে, বাংলাদেশে লাশ ফেলছিলেন। তিস্তার পানি কোনো দিনও দেননি। আমাদের ন্যায্য হিস্যা কখনোই দেননি। সেই দেশের মানুষের সামান্য একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেয়। বাংলাদেশে কেউ সাম্প্রদায়িকতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করুক, এটা আমরা চাই না। কিন্তু উসকানি দিচ্ছে আপনার দেশে বসে থাকা শেখ হাসিনা।’
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে ৫০০ এর অধিক মামলা রয়েছে। সেই মহিলা বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতেন না। বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষকে না খেয়ে মারার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য বানানোর জন্য দৃঢ় চেষ্টা করেছিলেন। সেই শেখ হাসিনাকে আপনারা আবারও বিনা পাসপোর্টে আশ্রয় দিয়ে এখন ইসকনের নামে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করা শুরু করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘আপনার ভয় নেই। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনার সঙ্গে আছে। যারা আয়নাঘরে বন্দি ছিল, যেসব মায়ের বুক খালি হয়েছে তাদের কথা স্মরণ করে আপনি জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নজরে নেন।`
শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাকে ব্যাহত করতে পারে আশংকা জানিয়ে দ্রুত নির্বাচন দেবার তাগিদ দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।