ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এখনো শুরু হয়নি। এখানকার দলগুলো উয়েফা নেশন্স লিগ খেলছে। এরমধ্যে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১২টি করে ম্যাচ হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের এখনো ১৮ মাস বাকি। আগামী মার্চের আগে আন্তর্জাতিক সূচি না থাকায় দল গোছানোর জন্য দেড় বছরেরও কম সময় পাচ্ছে দেশগুলো। তবে সংবাদমাধ্যম গোল কাতার বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে দলগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে বিশ্বকাপের একটি র্যাঙ্কিং প্রস্তুত করেছে।
এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। কাতার বিশ্বকাপের পর কোপা আমেরিকা বিজয়ী আর্জেন্টিনা তালিকায় ফেবারিট হিসেবেই জাগয়া পেয়েছে। ফ্রান্সও আছে ফেবারিটের তালিকায়। তবে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম তাদের অবস্থান নিয়ে একরকম বিপদেই আছে।
সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। উয়েফা নেশন্স লিগে সবার চেয়ে বেশি ১৬ পয়েন্ট তুলেছে তারা। গ্রুপ পর্বে সেরা দল ছিল স্পেন। ২০২৬ বিশ্বকাপের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে তারা। আর্জেন্টিনাও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করেছে টেবিলে শীর্ষে থেকে। কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা আছে দুই নম্বরে। এছাড়া জার্মানি র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে উঠেছে, আর ইংল্যান্ড আছে চারে।
টানা দুই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি ইতালি। কাতার বিশ্বকাপের আগে ইউরোজয়ী দলটি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি। এবার ভালো ছন্দে আছে আজ্জুরিরা। তালিকায় সাতে জায়গা হয়েছে তাদের। তবে নয় নম্বরে জায়গা করে চমক দিয়েছে কলম্বিয়া। কাতার বিশ্বকাপের রানার আপ ফ্রান্সকে পাঁচে রাখা হয়েছে। ছয়ে আছে পর্তুগাল। আটে জায়গা পেয়েছে নেদারল্যান্ডস।
মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বিশ্বকাপের আগে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দশে জায়গা পেয়েছে তারা। তবে সেরা দশে থাকার মতো ফুটবল দরিভাল জুনিয়রের দল খেলছে কিনা তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। সোনালি প্রজন্মের শেষ দেখে ফেলা বেলজিয়াম আছে ১৪ নম্বরে। ১১ নম্বরে নাম তুলে মরক্কো চমক দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া আছে ১২তে। বিশ্বকাপের স্বাগতিক কানাডা ১৩ ও যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৫ নম্বরে।