সশস্ত্র বাহিনীকে সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বাণীতে জনাব তারেক রহমান বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষায়ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অগ্রগণ্য। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আজ জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। পরে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহীদ জিয়ার গৃহীত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’