
বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রাজিলের ফুটবল খারাপ সময় পার করছে। এ বছর মহাদেশীয় আসরে শেষ চারেও জায়গা হয়নি দলটির। উরুগুয়ের কাছেও নিতে হয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। বছরের শেষ ম্যাচেও সেই একই প্রতিপক্ষের কাছে হতাশার এক ড্র কুড়িয়েছে সেলেসাওরা।
প্রথমার্ধে আক্রমণভাগে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় গোল হজম করতে হয় ব্রাজিল ফুটবল দলকে। সেখান থেকেই অবশ্য ফিরে এসেছে তারা। দর্শনীয় দুই গোল অবশ্য চোখের সামনে দেখেছেন ভক্তরা। গোল পরিশোধের পর ব্রাজিলের চিরায়ত আক্রমণাত্মক ফুটবলও দেখা গেছে। কিন্তু ফরোয়ার্ড লাইনের দুর্বলতায় আরও একবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
পুরো ৪৫ মিনিট জুড়ে গোটা সাতেক শট। সুযোগ এসেছিল বারবার। কিন্তু ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডরা একের পর এক সুযোগই মিস করে গেলেন পুরোটা সময় জুড়ে। প্রতিপক্ষ উরুগুয়ের ডি-বক্সে একের পর এক বল রেখেছিলেন মিডফিল্ডাররা। ফিনিশাররা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। রাফিনিয়া, ইগর হেসুস, ভিনিসিয়ুসরাও একের পর এক সুযোগ মিস করেছেন।

গোল শোধ করতে ব্রাজিল সময় নিয়েছে মোটে ৭ মিনিট। ব্রাজিলের মিডফিল্ডে কোচ দরিভালের বিশেষ আস্থার নাম গেরসন। তারই পা থেকে আসে গোল। রাফিনিয়ার ক্রসটা ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেনি উরুগুয়ের রক্ষণ। বল চলে যায় ডি-বক্সের বাইরে অনেকটা ফাঁকায় থাকা গেরসনের সামনে। দুর্দান্ত এক ভলি কাছের পোস্টে। সেখান থেকেই ব্রাজিলের সমতায় ফেরা।
৬৪তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ব্রাজিল। বদলি নামা গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির বুলেট গতির শট ভালোভাবেই গ্রিপ করেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক সের্হিও রোশেত। চার মিনিট পর সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগো আগিরে। কিন্তু বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করেন দানিলো। শট রাখতে পারেননি ব্রাজিল অধিনায়ক। ম্যাচের ফল তাই ১-১ ড্রতেই মেনে নিতে বাধ্য হয় দুই দল।
ব্রাজিল টানা দুই ড্রয়ে পিছিয়ে নেমে গেছে পাঁচে। ১২ ম্যাচে পাঁচ জয় আর তিন ড্রয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৮। পাঁচ জয় আর পাঁচ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে উরুগুয়ে। পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।