
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নভেম্বরের প্রথম ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি জিততে প্যারাগুয়ে সবরকম হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়েছে। গ্যালারিতে থাকা ভক্তদের জন্য মেসি ও আর্জেন্টিনার জার্সি পরা নিষিদ্ধ ছিল। এর বাইরে রেফারির থেকেও সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে।
দলটির ফুটবলার ওমার আলদেরেতে প্রথমে আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। পরেই মেসিকে গুরুতরভাবে ফাউল করেন তিনি। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান রেফারি অ্যান্ডারসন দারোঙ্কো তাকে কোনও কার্ড দেননি।
মেসিরা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড চেয়ে রেফারির কাছে আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু কোনও কার্ড রেফারি দেননি। ওই বিষয় নিয়ে পরেও রেফারির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা মেসির। তিনি রেফারির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তুমি একটা কাপুরুষ। আমি তোমাকে মোটেও পছন্দ করছি না।’
রেফারির সঙ্গে মেসির এই তর্কে জড়ানো ও কাপুরুষ বলা ফিফার শৃঙ্খলা নীতির বিরোধী। যে কারণে সাজা পেতে পারেন মেসি। এর আগে রেফারিকে কাপুরুষ বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনের কোচ চালেব পটার। তাকে ফিফা ২০ হাজার ডলার জরিমানা ও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
মেসি পার পেয়ে যাবেন নাকি শাস্তি পেতে হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অবশ্য জরিমানা ও শাস্তির চিন্তা করার আগে রেফারি খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন এই মর্মে অভিযোগ করেছেন কিনা সেটাই মূল বিষয়। রেফারি অভিযোগ না করলে কোন শুনানিরই দরকার পড়বে না।
ম্যাচ শেষে রেফারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেন, ‘আমি এখন কিছু বললে তা অজুহাত মনে হবে। মাঠে কী হয়েছে তা তো সকলে দেখেছে।’ ক্ষোভ ঝেড়েছেন স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজও। ৪৭ মিনিটে ওমার আলদেরেদে জয়সূচক গোলটি করেন। লওতারো জানান, তিনি রেফারিকে বলেছেন, আলদেরেদের গোল করার জন্য মাঠে থাকা উচিত হয়নি।