
ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ভারতের মণিপুর রাজ্যে ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এ সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সরকারি চাকরি ও জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত বিরোধ চলে আসছে।
মণিপুরের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার জিরিবামের একটি নদী থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অন্য তিনজনের মরদেহ শনিবার পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহগুলো মেইতেই সম্প্রদায়ের। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় মণিপুর পুলিশ ও কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকজন স্থানীয় রাজনীতিবিদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।
শনিবার বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাজধানী ইম্ফলের সড়ক অবরোধ করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় শহরে কারফিউ জারি করে মণিপুর সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দিনের জন্য মণিপুরের ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাজ্যটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার কারণে গত বছর কয়েক মাস মণিপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হন। ওই ঘটনার পর থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দা জরুরি আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছেন। চলমান বিরোধের কারণে তারা এখনো নিজের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।