
আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের মূল ভেন্যুতেই ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে জোর আওয়াজ উঠেছে। ইসরায়েলকে নির্বিচার গণহত্যার জন্য দায়ী করে কঠিন শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সম্মেলনে যোগ দেয়া শান্তিকামী মানুষ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানী শহর বাকুতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মূল আয়োজনেই এমন ঘটনা ঘটে।
এদিন সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরেও বিক্ষেভরত শত শত মানুষ স্লোগান দেন। স্লোগানে জলবায়ুর বিরুদ্ধে লড়াই আর যুদ্ধকে একই বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন তারা। বিক্ষোভকারীরা জানান, একটিতে মারা পড়ছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ, অন্যটিতে মারা পড়ছে দরিদ্র দেশগুলো।

এসময় প্রতিদবাদকারীদের অনেককেই ফিলিস্তিনীদের কেফিয়া পরে থাকতে দেখা যায়। কারো কারো হাতে আবার দেখা যায় ব্যানার ও ফেস্টুন। আলাদা ব্যানারে কেউ কেউ লিখেছিলেন “এখনই যুদ্ধবিরতি” এবং “গণহত্যাকে ইন্ধন দেয়া বন্ধ করুন”।
ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি সরকার উভয়ই এই শীর্ষ সম্মেলনে এসেছেন। দেশগুলোর মন্ত্রীরা সম্মেলন কেন্দ্রে ঢোকার পথে এমন বিক্ষোভ দেখে বিব্রত হন। জাতিসংঘ মহাসচিবসহ অন্য বিশ্ব নেতারাও এমন পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন।

মূলত, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনায় দ্বিতীয় গুরুত্বপুর্ন বিষয় হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের যুদ্ধ পরিস্থিতি।

ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন যে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের কারণে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর সাথে আছে পরিবেশ ও পানির ক্ষতি। জলবায়ুর জন্য এই লড়াইয়ের পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের এ দাবিকে ‘মানবতার লড়াই`- বলছেন অ্যাক্টিভিস্টরা । যে দেশগুলো গণহত্যার ইন্ধন জোগাচ্ছে, অস্ত্র দিচ্ছে এবং অর্থায়ন করছে তারাই যদি জলবায়ু সুরক্ষায় কাজ করতে চায়- তাহলে এ থেকে কিছু পাওয়ার আশা নেই বলেও জানান বিক্ষোভকারীরা।