গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে।
কিন্তু তার আগে ‘লেম ডাক’ সরকারের প্রধান হিসেবে বেশ কয়েকটি কাজ করতে পারেন তিনি। আর সেই সঙ্গেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে সাংবিধানিক ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলোর একাংশ জানাচ্ছে, শেষপর্বে বাইডেন প্রশাসন দু’টি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রথমটি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষা-সংক্রান্ত কর্মসূচিতে বাড়তি অনুদান বরাদ্দ করা। দ্বিতীয়টি, ইউক্রেনে বাড়তি সামরিক সহায়তা পাঠানো।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সখ্য সুবিদিত। তাই রুশ হামলা ঠেকাতে তিনি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বহাল রাখতেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া, ২০১৬-২০ প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে ট্রাম্পের ‘নির্লিপ্ত আচরণ’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে একাধিক বার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ইতোমধ্যেই কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়া তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের বাস্তবায়নে কয়েক কোটি ডলার খরচ করার বিষয়ে শেষ সময়ে সক্রিয়তা দেখাতে পারে বাইডেন সরকার। এগুলো হলো, দ্বিদলীয় পরিকাঠামো আইন, চিপস এবং বিজ্ঞান আইন এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ আইন। উল্লেখ্য, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ পেরিয়ে গেলেও এখনো ওভাল অফিসে আসীন হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা পর্বটুকু বাকি।
পরের ধাপে আগামী ১৩ ডিসেম্বর ইলেক্টরেরা সংশ্লিষ্ট রাজ্য রাজধানীতে জড়ো হয়ে তাদের দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্ব শেষ করবেন। ২০২৫-এর ৬ জানুয়ারি আমেরিকার কংগ্রেসের দুই কক্ষ, সিনেট এবং হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যেরা আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের অধিষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করবেন। ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বাইডেনের হাত থেকে প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। ওই দিনই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন বাইডেন।