
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও যেকোনো হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা দেখতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।
গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মিলার জানান, “এর আগেও এ ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। সেসব আলোচনায় আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা চাই ধর্মীয় ও ধর্মপালনের স্বাধীনতাকে বাংলাদেশে সম্মান হোক। সেই সঙ্গে আমরা আরও চাই— যারা হামলা করছে, তাদেরকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান এটাই।”
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। সেই স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।”